Love for Beloved Chhayani Union

Tuesday, 19 July 2016

ঈহুদিরা শক্তিশালী কেন?

Post Collected from GBC Fb Group
ঈহুদিরা শক্তিশালী কেন?
নীচের লেখাটি পড়লে আপনার নিকট পরিষ্কার হয়ে যাবে।
পৃথিবীতে ইহুদির সংখ্যা ১ কোটি ৪০ লক্ষ। এই জনসংখ্যায় প্রতি ১ জন ইহুদীর জন্য মুসলমানের সংখ্যা ১০০ জনের ও বেশী। অথচ ইহুদীরা মুসলমানদের তুলনায় শক্তিশালী, কেন?
আলবার্ট আইনস্টাইন ছিলেন ইহুদী। টাইম ম্যাগাজিনের নির্বাচনে নির্বাচিত শতাব্দীর সেরা মানব “ সিগমন্ড ফ্রয়েড” ছিলেন ইহুদী সিগমন্ড ফ্রয়েড কে বলা হয়ে থাকে “ সাইকোএনালিসিসের জনক” কার্ল মার্কস, পল স্যামুয়েলসন , মিল্টন ফ্রয়েডম্যান এরা সবাই ছিলেন ইহুদী।
অনান্য উল্লেখযোগ্য ইহুদী যারা সমগ্র মানব কল্যানে নিবেদিত ছিলেন এবং তাদের অবদান হল-
বেঞ্জামিন রুবিন(Benjamin Rubin ) - প্রতিরোধক ভ্যাক্সিনের সুচ আবিস্কার।
জোনাস সক ( Jonas Salk ) - পোলিও ভ্যাক্সিনের উদ্ভাবক।
এলার্ট সেবিন (Alert Sabin) - মুখে খাওয়ার পোলিও প্রতিরোধক ভ্যাক্সিনের উদ্ভাবক।
গারট্রুড এলিওন( Gertrude Elion) - রক্ত ক্যান্সারের ঔষধ আবিস্কার।
বারুখ ব্লুমবার্গ (Baruch Blumberg )- হেপাটাইটিস বি’র প্রতিষেধক আবিস্কার
পল আরলিখ ( Paul Ehrlich) - সিফিলিসে ঔষধ আবিস্কার।
এলি মেচনিকফ(Elie Metchnikoff ) - সংক্রামক রোগের উপর নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী।
বার্নার্ড কাজ (Bernard Katz) - স্নায়ু এবং মাংশপেশীর উপর নোবেলজয়ী
এনড্রু শ্যালী (Andrew Schally) - এন্ডোক্রাইনোলজী’র উপর নোবেলজয়ী।
আরন বেক ( Aaron Beck)- কগনিটিভ থেরাপী- মানসিক ব্যাধি চিকিৎসার উপায়।
গ্রেগরী পিনকাস (Gregory Pincus) - জন্ম নিরোধক বড়ি।
জর্জ ওয়াল্ড (George Wald) - মানব চক্ষুর উপর কাজের জন্য নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী।
স্ট্যানলী কোহেন (Stanley Cohen) - ভ্রুনবিদ্যায় embryology নোবেলজয়ী।
উইলেম কলফ(Willem Kolff ) - কিডনী ডায়ালাইসিস যন্ত্রের আবিস্কারক।
নোবেল পুরস্কারের ১০৫ বছরের ইতিহাসে নোবেলজয়ী ইহুদীর সংখ্যা-১৮০, মুসলমানের সংখ্যা- ৩
ইহুদীরা এত শক্তিশালী কেন?
স্টানলী মেজর (Stanley Mezor ) - মাইক্রোপ্রসেসিং চিপসের আবিস্কারক (micro-processing chip.)
লিও সিলার্ড (Leo Szilard) - পারমানবিক শক্তির “ চেইন রিয়্যাক্টরের এর উদ্ভাবক the first nuclear chain reactor;
পিটার শুলজ (Peter Schultz) - অপটিক্যাল ফাইবার কেবল the optical fibre cable;
চার্লস এডলার (Charles Adler) – ট্রাফিক লাইট traffic lights;
বেনো স্ট্রস (Benno Strauss) – ইস্পাত stainless steel;
ইসাডর কিস (Isador Kisee) - সবাক চলচিত্র sound movies;
এমিল বার্লিনার (Emile Berliner) – টেলিফোন মাইক্রোফোন telephone microphone;
চার্লস গিনসবার্গ (Charles Ginsburg) – ভিডিও টেপ রেকর্ডার videotape recorder.
ব্যাবসা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ইহুদীরা -
র‍্যালফ লরেন (Ralph Lauren) - পোলো (Polo),
লেভী স্ট্রস (Levis Strauss) - লেভী’স জিনস(Levi's Jeans),
হাওয়ার্ড শুলজ (Howard Schultz) - স্টারবাক (Starbuck's)
সের্গেই ব্রিন (Sergey Brin) - গুগল(Google)
মাইকেল ডেল ( Michael Dell) - ডেল কম্পিউটার (Dell Computers)
ল্যারি এলিসন (Larry Ellison) - ওরাকল (Oracle)
প্রশাসনিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ইহুদীরা-
হেনরী কিসিঙ্গার (Henry Kissinger) এবং ম্যাডলিন অলব্রাইট (Madeleine Albright) আমেরিকার প্রাক্তন পররাস্ট্র মন্ত্রী (American Foreign Secretary)..
ম্যাক্সিম লিটভিনভ(Maxim Litvinov)- রাশিয়ার পররাস্ট্র মন্ত্রী (USSR Foreign Minister)
ডেভিড মার্শাল David Marshal সিঙ্গাপুরের মুখ্যমন্ত্রী,
বেঞ্জামিন ডিজরেলী (Benjamin Disraeli) - বৃটিশ রাস্ট্রনায়ক ও লেখক (British statesman and author)
পিয়েরে মেনডেস (Pierre Mendes) - ফরাসী প্রধানমন্ত্রী (French Prime Minister)
মাইকেল হাওয়ার্ড(Michael Howard )- বৃটিশ স্বরাস্ট্রমন্ত্রী (British Home Secretary)
মানব কল্যানে দাতা হিসেবে ইহুদী
জর্জ সরস- পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিজ্ঞানের উন্নয়নে যিনি দিয়েছেন ৪০০ কোটি ডলারের ও বেশী,
ওয়াল্টার এনেনবার্গ জ্ঞান সাধনার উন্নয়ন কল্পে দিয়েছেন ২০০ কোটি ডলার।
হলিউডের প্রতিষ্ঠাতা একজন ইহুদী। হলিউডের অনেক অভিনেতা,অভিনেত্রী পরিচালক, ইহুদি।
আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটনের এক উল্ল্যেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান হল আমেরিকান ইজরায়েলী পাবলিক এফেয়ার্স কমিটি American Israel Public Affairs Committee, or AIPAC...ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী যদি বলেন পৃথিবী গোল পরদিন আমেরিকান কংগ্রেসে ইজরায়েলী প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে আইন পাশ করা হবে ‘ পৃথিবী গোল”
এ যাবত কালের সবচে’ বেশী ইন্টেলিজেন্স কোশেন্ট বা আই কিউ(২৫০-৩০০) ছিলেন একজন ইহুদী, উইলিয়াম জেমস সিডিস(William James Sidis)
প্রশ্নঃ- ইহুদীরা এত শক্তিশালী কেন?
উত্তরঃ- শিক্ষা
পৃথিবীতে মুসলমানের সংখ্যা ১৪০ কোটির ও বেশী, এই সংখ্যা হিন্দুদের বা বৌদ্ধদের দ্বিগুন, পৃথিবীতে প্রতি পাঁচজনের একজন মুসলমান, অথচ মুসলমানদের এমন দুরবস্থা কেন?
অর্গানাইজেশান অফ ইসলামিক কান্ট্রি’জ বা ও আই সি’র সদস্য সংখ্যা ৫৭, ঐ দেশগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা মোট ৫০০ , প্রতি ৩০ লক্ষ লোকের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়, অথচ আমেরিকাতে প্রতি ৫৭,০০০ লোকের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় , প্রতিবেশী দেশ ভারতেই রয়েছে ৮,৪০৭টি বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০৪ সালের সাংহাইয়ের জিয়াও টং বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীর বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের র‍্যাঙ্কিং এ মুসলিম দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ছিল না।
ইউ এন ডি পি’র সুত্র অনুসারে খৃস্টান দেশ গুলোতে শিক্ষার হার ৯০ শতাংশের ও বেশী ১৫টি খৃস্টান দেশে শিক্ষার হার ১০০% আর মুসলিম দেশগুলোতে তা ৪০ শতাংশ এবং কোন মুসলমান দেশে ১০০% শিক্ষার হার নেই। খৃস্টান বিশ্বে যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ নিয়েছেন শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর ৪০ শতাংশ সেখানে মুসলিম বিশ্বে তা ২%।
মুসলিম বিশ্বে প্রতি ১০ লক্ষ জনের জন্য রয়েছেন ২৩০ জন বিজ্ঞানী সেখানে আমেরিকাতে রয়েছেন ৪,০০০ জন। সমগ্র আরব বিশ্বে মোট গবেষকের সংখ্যা ৩৫,০০০ এবং প্রতি ১০ লক্ষ লোকের জন্য রয়েছে ৫০জন কারিগর বা টেকনিসিয়ান খৃস্টান বিশ্বে প্রতি ১০ লক্ষ জনের জন্য টেকনিসিয়ান -১০০০ জন। গবেষনার পেছনে খৃস্টান বিশ্ব যেখানে খরচ করে জি,ডি,পি’র ৫% সেখানে মুসলিম বিশ্বে তা ০ .২%।
পাকিস্তানে প্রতি ১০০০ জনের জন্য রয়েছে ২৩টি সংবাদপত্র সেখানে সিঙ্গাপুরে তা ৩৬০টি। বৃটেনে প্রতি ১০ লক্ষ জনের জন্য রয়েছে ২০০০টি টাইটেলের বই সেখানে মিশরে তার সংখ্যা মাত্র ২০।
উচ্চ প্রযুক্তি’র পন্য রফতানী জ্ঞান বিজ্ঞানের সূচক। পাকিস্তানের ক্ষেত্রে তা ১%, সৌদি আরব, কুয়েত, মরক্কো, আলজেরিয়া ইত্যাদির ক্ষেত্রে তা .৩% এবং সিঙ্গাপুরে তা ৫৮%।
৫৭টি ও আই,সি দেশের জি,ডি,পি, ২ ট্রিলিয়ন সেখানে আমেরিকার ১২ ট্রিলিয়ন, চীনের ৮ ট্রিলিয়ন, জাপান ৩.৮ ট্রিলিয়ন, ভারত- ১.৭৫ ট্রিলিয়ন, জার্মানী ২.৪ ট্রিলিয়ন। ( purchasing power parity basis).
সৌদি আরব, আরব আমীরাত, কুয়েত এবং কাতার মিলে উৎপাদন করে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের পন্য( বেশীর ভাগ তেল) সেখানে স্পেনের তা ১ ট্রিলিয়নের উপরে, পোল্যান্ডের ৪৮৯ বিলিয়ন এবং থাইল্যান্ডের তা ৫৪৫ বিলিয়ন।
সমস্ত কিছুর কারন কি শিক্ষার অভাব নয়?
Main Script: Faruq Salim (UK)
অনুবাদ: Yeasin Elahi (2013)
LikeShow more reactions
Comment
Comments
Abu Bakar Siddique a very important post from you, thanks Yeasin Elahi. Yes education.
LikeReply2July 17 at 10:39pm
Jabed Hossain ai post ti onak kecu janar acea keno amra muslim der ato korun obosta
LikeReply1July 17 at 11:07pm
Hr Sobuz vaiia apnar likha gulo joto boro khub dhorjo dore pore ...karon post ta daklei bujte darie hoiina ja akhane theke kicu sikha jabe.....donnobad vaiia..Yeasin Elahi
LikeReply1July 17 at 11:21pm
Yeasin Elahi All credit goes to you brother. Thanks a lot
Shibbir Hasan Shiblu দারুন.....
Mohammed Alamgir Facebook'r প্রতিষ্ঠাতা Mark Zuckerberg, বিশিষ্ট অভিনেতা Harrison Ford, বিখ্যাত পরিচালক Steven Spielberg ইহুদি। ডায়মন্ড ব্যবসা তাদের কাছে। অস্রের ব্যবসাও তাদের হাতে। অবশ্যই শিক্ষা তাদের এগিয়ে যাওয়ার মূল শক্তি।
মুসলীমরা পিছিয়ে পড়ার কারণত অবশ্যই শিক্ষা, তার সাথে আছে উগ্রতা, সহনশীলতা ও ধৈর্যের অভাব। এবং নারী ও মদের প্রতি মুসলীম শাসকদের অতিরিক্ত লোভ ও লালসাও মুসলীমদের পিছিয়ে পড়ার অন্যতম আর একটি কারণ। মুসলীমদের পিছিয়ে পড়ার আরও অনেক কারণ আছে। এগুলো নিয়ে লিখলে আপনাকে হয় নাস্তিক বানিয়ে দিবে কিংবা অমুসলীম বানিয়ে দিবে।
শুধু একটা বিষয় শেয়ার করি, বেলজিয়ামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে হিজাব পরা নিষেধ করেছে এপ্রিল মাস থেকে। বেলজিয়ামে তুলনামুলক ইহুদিদের বসবাস বেশী। তাদের মেয়েরাও হিজাব ও বোরখা পরে আর খৃষ্টান ধার্মিক মেয়েরা ও গির্জার সিস্টারাও হিজাব পরে। ইহুদিরা বিষয়টা মেনে নিয়েছে। ইহুদি মেয়েগুলো ঠিকই হিজাব পরে আসে আর তা খুলে পেলে শিক্ষা প্রতষ্ঠানে ঢুকার আগে। কিছুটা মন খারাপ করে। আর বেশীরভাগ মুসলীম মেয়েগুলো বাসায় থেকেই হিজাব পরে আসে না। অথচ তারা আগে হিজাব পরে আসত।
আপনাকে ধন্যবাদ Yeasin Elahi সাহেব চমৎকার সংগ্রহ ও অনুবাদের জন্য। মূল লেখা আগে একবার পড়েছি। অনুবাদ পড়ে ভাল লাগল।
LikeReply1Yesterday at 1:24amEdited
Mohammad Jahangir Alam এইরকম একটি লিখা আগেও পড়েছিলাম। আবারো পড়লাম, অনেক কিছু জানার আছে। নোবেল পুরস্কারের সংখ্যা বেশী ঈহুদিদের। মুসলিমরা প্রথম দিকে শিক্ষা দিক্ষায় আবিস্কারের প্রথমে ছিলো, পরে আস্তে আস্তে যখন বিধর্মীরা শিক্ষায় এগিয়ে গেলো, ইংরেজি ভাষা ব্রিটিশরা যখন ছড়িয়ে দিলো সারা বিশ্বে তখন মুসলিমরা এই ভাষাকে মেনে নিতে পারলনা। মুসলিমদের মধ্যে একটা অহঙ্কার বোধ চলে আসলো, তারা বললো এই ভাষা ঈহুদিদের ভাষা শিখা হারাম, এমন কি ঈহুদিদের সন্তানদের সাথে ও মুসলিমদের সন্তানদের পড়তে দিত না। ইসলামী শাসকরা ঈহুদিদের নিম্ন শ্রেণীর মনে কর্রে তাঁদের সাথে মিশতো না। আমি টিভি তে একটা ঐতিহাসিক সিরিয়াল দেখি "সুলতান সুলেমান" ঐ সিরিয়ালে মুসলিম পিছিয়ে যাওয়ার অনেকগুলো কারণ উপলব্ধি করা যায়। ইসলাম যেই ভাবে দিক নির্দেশনা দিয়েছিলো, আমাদের ইসলামী শাসকরা তার বিপরিতে কাজ করেছেন বলে আজ মুসলিমরা পিছিয়ে আছে। এখনো একি অবস্থায় আছে।
Jaker Hossen দারুণ পোষ্ট।
Zahid Hossain Very nice post.
Zahid Hossain Yeasin Elahi...thank you very much. A stastical information and analysis which may help us to rethink and about-face.
LikeReply21 hrs

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment.

 

SSC Chemistry

SSC Chemistry

 
Blogger Templates