Post Collected from GBC Fb Group
অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি মুছাপুর ক্লোজ!
প্রকৃতির অপরূপ সৃষ্টি পর্যটনের সম্ভাবনাময় মুছাপুর ক্লোজার। এখানে প্রকৃতি যেন নিজেই নিজের সাথে খেলা করে। সবুজ প্রকৃতি, বণ্যপ্রাণী, পাখির ঝাঁক, ফরেস্ট বাগান, ফেনী নদীর মাঝে ক্লোজার, ২৩ ভেন্ট রেগুলেটর, জেলেদের উচ্ছ্বাস আর সাগরের বিস্তীর্ণ জলরাশি মিলে এক নয়াভিরাম সৌন্দর্যের জগৎ সৃষ্টি করে রেখেছে প্রকৃতি। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ সীমানায় বঙ্গোপসাগরের একেবারে কোল ঘেঁষে এই মুছাপুর ক্লোজার ও ফেনী নদীর অবস্থান।
সাগর আর নদী যেন মিসে একাকার হয়ে গেছে এই মুছাপুর ক্লোজারে। সাগরে যখন জোয়ারের পানি উতলে উঠে তখন অনন্য এক সৌন্দর্য বিকশিত হয় মুছাপুর ক্লোজরের ছোট ফেনী নদীতে। নদীর পাড়জুড়ে আছরে পড়ে ছোট-বড় ঢেউ। প্রায় ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ৩ কিলোমিটার প্রস্থের সমুদ্র সৈকতের যেকোনো জায়গায় দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার সুযোগ রয়েছে। একটু দাঁড়ালেই হারিয়ে যাবেন এই অপরূপ সৌন্দর্যের মাঝে।
মুছাপুর ক্লোজারের প্রাণকেন্দ্র থেকে দক্ষিণে যাওয়ার সময় দেখা যায় “বনবিভাগের ফরেস্ট” বাগান। এ যেন নিজেই অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি। চারপাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বিভিন্ন রকমের বনজ গাছ। এইখানে আসলে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কোলাহল, বিশাল সমুদ্র সৈকত, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তসহ মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা যায়। পর্যটক ও প্রকৃতিপ্রেমীরা ইচ্ছা করলে এ চরে এসে ঘুরে যেতে পারেন। মুছাপুর ক্লোজার এলাকায় চরের মধ্যে জুড়ে মনোরম বনাঞ্চল রয়েছে। এর মধ্যে মুছাপুর ফরেস্ট বাগানটি অন্যতম। এই ফরেস্ট বাগানে রয়েছে ঝাউ, কেওড়া, পিটালী, খেজুর, লতাবল, গেওয়া, শনবলই, বাবুলনাটাই, আকাশমনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান গাছ।
নোয়াখালী জেলা শহর/ যেকোনো উপজেলা থেকে যেকোনো গাড়িতে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট বাজারে চলে আসতে হবে। বসুরহাট বাজার থেকে মুছাপুর ক্লোজার পর্যন্ত দুই-তিনটি পাকা সড়ক রয়েছে। ওই সড়কগুলোর যেকোনো একটি দিয়ে চলে যেতে পারেন প্রকৃতিক সৌন্দর্যের জগত মুছাপুর ক্লোজার।
বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে একটি এই মুছাপুর ক্লোজার। সরকারের যথাযথ পিস্টপোশক্তা পেলে এই মুছাপুর ক্লোজার হতেপারে একটি পর্যটন কেন্দ্র। মুছাপুর ক্লোজারইতোমধ্যে মুছাপুর ক্লোজারটি পর্যটন কেন্দ্র করার জন্য উপজেলার বনবিভাগ কর্মকর্তা (রেঞ্জ) ২০১৫ সালে প্রধান বন সংরক্ষক বরাবরে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। (সংগৃহীত)