
আমার জীবন থেকে নেওয়া একটা গল্প বলি।
আমি বেলজিয়ামে যখন নূতন, তখন এক বিদেশী বয়স্ক মহিলার সাথে পরিচয় হয়েছিল। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশেও গিয়েছিলেন, Mohammad Jahangir Alam সাহেবের সাথে উনার দেখাও হয়েছিল। তিনি আমাকে অনেক স্নেহ করতেন। উনাকে আমার বাসায় দাওয়াত দিলাম। তিনি আমার বাসার টয়লেটটি ব্যবহার করলেন। আমরা এশিয়ানরা স্পেশায়ালী ব্যাচেলর সাধারণতঃ টয়লেট ভালভাবে পরিষ্কার করি না। পরিষ্কার করি কিন্তু টয়লেটের কমোডে ও বেসিনে লালচে ভাবটা থেকে যায়। কিন্তু কোন ইউরোপিয়ানদের বাসার টয়লেট ও বেসিন ঝকঝকে দেখা যায়। যাইহোক, মহিলাটি টয়লেট থেকে বের হয়ে আমাকে বললেন, "তোমার টয়লেট নোংরা, কিন্তু তুমিত একজন সমজদার ও ভাল মানুষ।" আমি উনাকে দুঃখিত বলে, পরে পরিষ্কার করে নিব বলে কথা দিলাম। তিনি আমাকে একটা কথা বললেন, যেটা আমার আজীবন মনে থাকবে।
তিনি আমাকে বললেন, "দেখ ছেলে তুমি কিংবা তোমার পরিবার বা ঐ ঘরে যারা থাকে তারা কত টুকু পরিষ্কার ও পরিছন্ন এটা বুঝার জন্য তাদের টয়লেট বা বাথরুম দেখে বুঝতে হয়। যার টয়লেট যত পরিষ্কার হবে সে তত পরিষ্কার ও পরিছন্ন এবং ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন হবে।"
আমাদের ছয়ানীতে একটি পাবলিক টয়লেট আছে। কিছু দিন আগে Novab Khan Bablu সাহেব এই টয়লেটটির করুণ অবস্থা তুলে ধরেছিলেন। একটি ঘরের একটি টয়লেট পরিষ্কার ও পরিছন্ন দিয়ে যদি সে ঘরের সদস্যদের ব্যক্তিত্বকে পরিমাপ করা যায়, তাহলে নিশ্চয় ইউনিয়নের একটি অপরিষ্কার, ঝির্ণ ও ভাঙ্গা টয়লেট দিয়ে পুরো ইউনিয়নের জনগণকে বিবেচনা করা হবে যে আমরা কত অপরিষ্কার ও অপরিছন্ন!
আমি মনে করি চেয়ারম্যান মহি উদ্দিন সাহেবের চেয়ারম্যান হিসাবে প্রথম কাজ হওয়া উচিৎ ইউনিয়নের টয়লেটটি ঠিক করে আমাদেরকে সকলের কাছে পরিষ্কার ও পরিছন্ন ছয়ানীবাসি হিসাবে তুলে ধরা।
আর ধর্মে আছে, "পরিষ্কার ও পরিছন্নতা ঈমানের অঙ্গ।"
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment.