Love for Beloved Chhayani Union

Tuesday, 31 May 2016

মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের ওই সাংবাদিকের মানসিকতা এত নিচু কেন? কমন সেন্স বলতে কি কিছু নেই?

মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের ওই সাংবাদিকের মানসিকতা এত নিচু কেন? কমন সেন্স বলতে কি কিছু নেই? সাংবাদিকতার ডিগ্রী অর্জন করেছে কিন্তু বিচার করার যোগ্যতা কি অর্জন করেনি? নিজের পকেট এবং চ্যানেলের পকেট ভারী করার জন্য কি যা মন চায় তাই করবে? হ্যাঁ আমি বলছি GPA-5 পাওয়া শিক্ষার্থীদের অপমান করে বানানো রিপোর্টটির কথা। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটি তুলে ধরার জন্যই কি উনি রিপোর্টটি বানিয়েছেন? আমারতো তার উল্টোটা মনে হলো! প্রথম যখন ভিডিওটি দেখা শুরু করেছিলাম তখনই আমার ভ্রু দুটি কুচকে যাচ্ছিল রাগের কারণে
রিপোর্টটিতে দেখেছিলাম GPA-5 পাওয়া কিছু শিক্ষার্থী অতি সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছিলনা। সবার কাছে বিষয়টি হাস্যকর হলেও আমি রীতিমত ভয় পেয়েছিলাম! রিপোর্টটি যতই আমার চোখের সামনে চলছিল ততই আমার ভয় বেড়েই যাচ্ছিল! পঙ্গু হচ্ছে দেশ ও জাতী এই ভয়। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটি যে এতই গাঢ় হবে তা কল্পনাতীত।
এবার আসল কথায় আসি, আপনি সাংবাদিকতা করেন তাই নিউজ তৈরী করা আপনার দায়িত্ব কিন্তু তাই বলে কি আপনি কার কোনদিকে কি ক্ষতি হচ্ছে না হচ্ছে তা বিবেচনায় আনবেন না? ওই শিক্ষার্থীদের কেন আপনি অপমান করলেন? তাও সবার সামনে! কোন অধিকারে? দোষ কি ওই শিক্ষার্থীদের? নাকি শিক্ষাব্যবস্থার? যদি শিক্ষাব্যবস্থারই দোষ হয় বা ম্যানেজমেন্টের দোষ হয় তাহলে ওই শিক্ষার্থীদের কেন অপমান করলেন? শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে নিয়েতো তেমন কিছুই বললেন না। রিপোর্টটির সিংসভাগ জুরেতো শুধু শিক্ষার্থীর পেছনেই লেগে ছিলেন! আর তাছাড়া আপনি যেসব শিক্ষার্থীকে প্রশ্ন করেছিলেন তারা কি সত্যিই GPA-5 প্রাপ্ত? রিপোর্টের কোন অংশেতো ওদের মুখে শুনলামনা ওরা GPA-5 পেয়েছে! পয়েন্ট নম্বর এক এটি। পয়েন্ট নম্বর দুই হলো আপনি কি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন যে এক ঝুড়ি টাটকা লিচুর মধ্য থেকে বেছে বেছে দুই একটি পোকা ধরা লিচু বের করে বিক্রেতার সাথে তর্কে জরানোর উছিলা বের করার মত করে শত শত সত্যিকার মেধাবী শিক্ষার্থীর মধ্য হতে পোকা ধরা দুই একটি লিচু বের করার ওই কৌশল খাটিয়ে কম মেধাসম্পন্ন শিক্ষার্থী খুঁজে বের করেননি? একজন শিক্ষার্থী যতই মাথামোটা হোক, তাকে যদি আপনি অতি সাধারণ প্রশ্ন করতে থাকেন তাহলে তারা ১০০% না হোক অন্ততপক্ষে ৫% প্রশ্নের উত্তর হলেও দিতে পারে। আবার একি প্রশ্ন যদি ডজন খানেক মাথামোটা শিক্ষার্থীকে করেন তাহলে এদের মধ্যে কি কেও একটি প্রশ্নেরও সঠিক উত্তর দিতে পারেনা? কিন্তু আপনার রিপোর্টটিতে কেও সঠিক উত্তর দিতে পেরেছে এমন কাওকে দেখিনি। দেখবইবা কি করে! সঠিক উত্তর গুলোতো edit করে মুছে ফেলেছেন(হয়তবা)! ফেসবুকের প্রতিটি টাইমলাইন জুড়ে আপনার তৈরী করা মহান রিপোর্টটি ভ্রমন করছে, এমনকি প্রতিটি পেইজে, প্রতিটি গ্রুপেও! শিক্ষাব্যবস্থার ভূল ধরছেনা কেওই, শিক্ষার্থীর ভূল ধরা হচ্ছে! ত্রুটিযুক্ত শিক্ষনীতিকে নিয়ে কেও ট্রল করছেনা, ট্রল করা হচ্ছে এই শিক্ষানীতির শিকার উদীয়মান শিক্ষার্থীদের নিয়ে! বাংলাদেশের ফেসবুক ইউজারদের টাইমলাইনে ধিক্কার জানানো হচ্ছে প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারা ওই সব শিক্ষার্থীদের কিন্তু যে শিক্ষাব্যবস্থা ওদের পঙ্গু করেছে তা নিয়ে কারও মাথা ব্যথা নেই! বর্তমান সময়ে কিছু বিবেক-প্রতিবন্ধী মানুষের হাসির খোরাক দিচ্ছে ওসব শিক্ষার্থীর দেওয়া কিছু ভূল উত্তর! ইউটিউবেও দেখলাম খুব ভালোই চলছে এই রিপোর্টটি। যা আয় করার তা তো বোধয় করেই ফেলেছেন কিন্তু ওই শিক্ষার্থীদের কি হচ্ছে এখন? হয়ত অপমানিত হচ্ছে পদে পদে, হয়ত লজ্জায় বাসা থেকে বের হচ্ছেনা, লজ্জায় হয়ত বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়াই বন্ধ করে দিয়েছে ছেলেগুলো, মেয়েগুলো হয়ত দরজা বন্ধ করে ফুঁপে ফুঁপে কাঁদছে!
যে বয়সের ছেলে-মেয়েরা এস এস সি তে একটি বিষয়ে খারাপ করে লজ্জা সইতে না পেরে আত্মহননের পথ বেছে নেয় সেই বয়সি শিক্ষার্থীদের প্রকাশ্যে অপমান করার জন্য আপনি এই রিপোর্টটি করলেন কিভাবে? খোদায় না করুক, এদের মধ্যে কেও যদি কোন অঘটন ঘটিয়ে দেয় তাহলে এর দায়ভার কে নেবে?
আপনি নেবেন না।
শিক্ষাব্যবস্থাও নেবেনা।
ভাবতেই অবাক লাগছিল রিপোর্টটিতে ওইসব শিক্ষার্থীদের চেহারা blur বা ঝাপসা করে ঢেকেও দেওয়া হয়নি! আরে ভাই আপনার উদ্দেশ্য আসলে কি? সাংবাদিকতার ডিগ্রী কি আসলেই পেয়েছিলেন নাকি পরীক্ষার আগে ফাঁসকৃত প্রশ্ন পেয়ে ছক্কা মেরেছিলেন? আপনার বিবেক আপনাকে কিভাবে বলেনি চেহারাগুলো ঢেকে দিতে? আর মাছরাঙ্গার নিউজ এডিটর এবং অডিটররাও বা কেমন?
শিক্ষব্যবস্থার ত্রুটির কারণে এমনিতেই অর্ধেক পঙ্গু হয়ে আছে শিক্ষার্থীরা তার উপর ওদেরকে এভাবে মানসিক টর্চার করবেননা! একটু বাঁচতে দিন।
LikeShow more reactions
Comment

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment.

 

SSC Chemistry

SSC Chemistry

 
Blogger Templates