Love for Beloved Chhayani Union

Wednesday, 25 May 2016

Lesson and Learnt



Yeasin Elahi
22 hrs 26/05/2016

-ঢাকা শহরে আমার একটানা দুই দিন না খাওয়ার রেকর্ড আছে।
--দুইইই দিন!
-জ্বি ভাই দুই দিন। এছাড়া পুরো দিন না খেয়ে ছিলাম এমন দিনের সংখ্যাও কম নয়। বাবা মারা যাওয়ার পরে ঢাকায় নতুন আসছি, যেই মেসে উঠছিলাম সেখানে দুই মাসের ভাড়া বাকী পড়ছিল, দেড় মাসের মিল খরচও দিতে পারি নাই। পরে ওরা আমার মিল বন্ধ করে দেয়। ওদেরই বা কী দোষ বলেন, ওরদেরও তো নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। আরেকজনকে মাসের পর মাস ফ্রী খাওয়ানোর মত অবস্থা নাই।
--তারপর?
-তারপরে আর কী? ক্ষুধার জ্বালায় অস্থির হয়ে রাগ জমল আমার সার্টিফিকেটের উপরে। ডিগ্রীর সার্টিফিকেত ছিঁড়ে ফেললাম। এই সার্টিফিকেট আমার পেটে ভাত দিচ্ছিল না। চাকরি চাইতে গেলে মানুষ দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়।
--তারপরে?
-তারপরে... তারপরে মেস থেকে অনেক দূরে ফার্মগেইটের একটা ছালাদিয়া হোটেলের সামনে গিয়ে লাজ লজ্জার মাথা খেয়ে ভাত খুঁজি। বললাম "দুই দিন ধরে খাই নাই, পকেটে টাকাও নাই, শুধু একটা প্লেট ভাত দিলেই হবে। আমি পানি মিশিয়ে খেয়ে ফেলব।
-- (এবার আমি কোন প্রশ্ন করলাম না) উনি নিজেই বলতে শুরু করল-
-ছালাদিয়া হোটেলের মালিকের মনে দয়া হল। উনি আমাকে এক প্লেট ভাত দিলেন। সাথে অবশ্য কোন এক তরকারীর পাতিল থেকে একটু ঝোলও দিলেন। আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খেলাম। তিরিশ সেকেন্ডে খাওয়া শেষ। দোকানি বুঝলেন আমার পেটের সিকি ভাগও পূরণ হয় নি। উনি আমাকে বললেন "এভাবে ফ্রী দিলে তো আমার চালান শেষ হয়ে যাবে। আমি গরিব মানুষ। তুমি এক কাজ কর, এই প্লেট গুলো ধুয়ে দেও, তাহলে আরো ভাত দিব।"
আমি আরো ভাত খাওয়ার জন্য সবগুলো প্লেট ধুলাম। একের পর এক কাস্টমার আসছে, কারো প্লেট, কারো বাটি সবই ধুতে হল। এরপরে এক টেবিলে এক কাস্টমার অনেকক্ষণ ধরে বসে আছেন। ওনার টেবিল ময়লা, কেউ পরিষ্কার করছে না। আমার হাতে কাজ নেই, আমি গিয়ে টেবিল পরিষ্কার করে দিলাম। এভাবে পাশের টেবিলটাও। এভাবে কখন যে তিন ঘন্টা পার হয়ে গেল তের পেলাম না। তিন ঘন্টা পরে দকান ফাঁকা। দোকানদার আমাকে পাতিলে থাকা অবশিষ্ট ভাত খেতে দিলেন। আমি মাছের ঝোল দিয়ে পুরো ভাতই খেলাম। পাতিলে অবশ্য মাছ ছিল না। আর মাছ থাকলেও আমি খেতাম না। কারণ উনি মাছ বিক্রি করছিলেন বিশ টাকা পিস হারে। আমার কারণে বিশ টাকা কম বিক্রি হলে উনি রাগ করতে পারেন। আমাকে ভাত খেতে দিয়েছেন এটাই তো বেশি।
আসার সময় উনি বললেন "আমার ছেলেটার দুই দিন হল জ্বর তাই দোকানে আসছে না। তুমি ইচ্ছে করলে এই কয় দিন আমার ছেলের বদলে কাজ করতে পার। তিন বেলা খেতে পারবে, কোন বেতন পাবে না।"
দুই দিন কাজ করলাম। ওনার ছেলে দিরে এল। তিনি আমাকে কাজ থেকে বাদ দিলেন না। ওনাকে বললাম "আমার মেস থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে"
উনি আমাকে হোটেলেই থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন।
ছয় মাস পরে পুলিশ এসে হোটেলটা গুড়িয়ে দেয়, ঐ জায়গাটা অবৈধ ছিল। উনি এবার টং দোকান দিলেন, চা বেচা শুরু করলেন, সেখানে আমার জায়গা হল না। চা বিস্কুট এক একাই বেচা যায়। আমি আবার বেকার হয়ে পড়লাম।
--তারপরে কী করলেন?
-ইতিমধ্যে গত ছয় মাসে আমি রান্না বান্নার কাজ ভালই শিখেছি। বিশেষ করে ছোলা, পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুণি ভালই পারতাম। ভাইকে (দোকানদারকে) অনুরোধ করে ওনার টং এর পাশেই ফুটপাথে একটা চুলা, কয়েকটা পাতিল নিয়ে বসে পড়লাম। এক মাসে ভালই মার্কেট পেলাম। চুলা, পাতিল সব ভাই (দোকানদার) এর আগের দোকানের। ওনার কাছ থেকে বাকীতে কিনেছি। এই দোকান যখন লাভের মুখ দেখা শুরু করেছিল পুলিশ এসে দোকান ভেঙ্গে দিল। অবশ্য আমি জানতাম এই দোকান পুলিশ ভাঙবে। আমি এজন্য সব সময় প্রস্তুত ছিলাম। পরদিন আরেক স্থানে দোকান খুললাম, এটাও ফুটপাথে। কিন্তু এবার পড়লাম আরেক বিপদে, বর্ষা কাল শুরু হয়ে গেছে। সব পানিতে ভিজে যায়। কাপড়ের ছাদ মানায় না। দোকান আবারো বন্ধ হয়ে গেল। আমি যেহেতু কাজ জানি তাই হতাশ হলাম না। বিভিন্ন দোকানে দোকানে গিয়ে খোঁজ লাগালাম তাদের ছোলা পেঁয়াজু বানানোর লোক লাগবে কিনা। এক দোকান পেলাম যারা এই লোক খুঁজছে। না খুঁজে যাবেই বা কোথায়, এখন তো ছোলা পেঁয়াজুর অনেক চাহিদা। ওখানে সকাল বেলা কাজ করতে হবে, কারণ ঐ দোকানটা একটা স্কুলের সামনে, স্কুলের কাস্টমার ধরাই মুল লক্ষ্য। দৈনিক একশ টাকা হাজিরায় কাজ করলাম। বিকালে চলে যেতাম আরেক এলাকায়, সেখানেও এক কাজ পেলাম। সেখান দিত দেড়শ টাকা। দিন আড়াইশ টাকা দিয়ে ভালই চলছিল। ইতিমধ্যে আমার বাড়ী থেকে আসার এক বছর বয়স পূর্ণ হল। যে মেসে সিট ভাড়া ও দেড় মাসের খাবার বাকী পড়েছিল সেই মেসে গিয়ে টাকা শোধ করলাম। হুজুর বলেছেন "এক টাকাও যদি আমার কাছে থেকে কেউ পায় তাহলে যতই আমল করি লাভ নাই, সেই টাকা মাফ না করা পর্যন্ত বেহেশতে যাওয়া যাবে না।"
মেস তখন অনেক বড় হয়ে গেছে। পুরা বিল্ডিং ই মেস মালিক ভাড়া নিয়েছে। পাঁচ তলা বিল্ডিং এ প্রায় দুইশ লোক থাকে। গিয়ে শুনি ওদের রান্না বান্নার লোকজন কাজের চাপে চলে গেছে। আমি সুযোগ লুফে নিলাম। দৈনিক তিনশ টাকা হাজিরায় ফুল টাইম কাজ নিলাম। আগের দুই চাকরি (সকালে ও বিকালের) ছেড়ে দিলাম। এখন মাসে নয় হাজার টাকা ইনকাম শুরু হল। যে আমাকে ঠিক এক বছর আগে এই মেস থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল আজ আমি এই মেস থেকে মাসে নয় হাজার টাকা আয় করি। আমার ভাগ্য মনে হয় ছয় মাস পর পর বদলায়। মেসের মিল নিয়ে মেস মালিক ও মেস মেম্বারদের মধ্যে ঝগড়া হল, সে এক তুমুল ঝগড়া। মেস মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উনি নাকি মিল থেকে টাকা মারেন! লম্বা সময় ধরে সবাই মিলে বৈঠক করলেন। শেষ মেষ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হল- মেস মালিকের অধীনে মেসের ডাইনিং থাকবে না। ডাইনিং অন্য কারো তত্বাবধানে ছেড়ে দিতে হবে।
কিন্তু সমস্যা হল -কে নিবে ডাইনিং এর দায়িত্ব?
একজন লোক ডাইনিং এর দায়িত্ব নিলেন। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পরে অবস্থা আরো খারাপ হল। দুই মাস পরে ডাইনিং এর টাকা (সামান্য) নিয়ে উধাও। এবার আমিই সাহস করে সিদ্ধান্ত নিলাম- আমি ডাইনিং চালাব। যেহেতু ডাইনিং এর মালিক পলাতক, তাই ওনার হাড়ি পাতিল এখন সবা আমার। আমি রান্নাঘরটা মাসে ছয়শ টাকায় ভাড়া নিলাম। নিজেই বাজার করতে লাগলাম, নিজেই টাকা কালেকশন করা শুরু করলাম। দেখা গেল এক মিল থেকে অনায়াসেই এক টাকা লাভ করা যায়। সকাল বেলায় দুইশ মিল, দুপুরে পঞ্চাশ মিল আর রাতে আড়াইশ মিল, সব মিলে দৈনিক পাঁচশ টাকা লাভ থাকত।
--বাহ বাহ, আপনি তো দেখছি আলাদীনের চেরা হাতে পেয়েছেন!
-এই কথাটা শুনলেই মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। আলাদীনের চেরাগ তো শুধু ঘষা দিলেই সব কিছু হয়ে যায়। আমার তো কাজ করে করতে হয়েছে, যাকে বলে হাড় ভাঙ্গা খাটুনি।
--তা এই হোটেলের মালিক হলেন কীভাবে?
-আরে সেই কথাই তো বলছি।
-আমার নজর শুধু পাঁচশ টাকার দিকে না, আমার নজর ছিল আরো উপরে। ডিগ্রীর সার্টিফিকেট যেহেতু ছিঁড়েই ফেলেছি তাই অফিসার লেভেলের চাকরি জীবনে করাও হবে না আর ইচ্ছাও নেই। এই তো বেশ আছি। চিন্তা করছিলাম কীভাবে ব্যবসাটাকে আরো উপরে উঠানো যাবে। এক দিন রাস্তা পেয়ে গেলাম।
খেয়াল করলাম মেসের আড়াইশ মেম্বারের মধ্যে দুইশ জন লোকই সিগারেট খায়। আর যারা সিগারেট খায় তারা সিগারেটের সাথে সাথে চাও হায়। এক বৃষ্টির রাতে শুয়ে পড়েছিলাম। এক মেস মেম্বার এসে ডাকলেন "মামা, তোমার কাছে সিগারেট হবে?"
আমি বললাম "আমি সিগারেট খাই না"
"আরে খাওয়ার কথা বলছি না। দুই তিন কার্টন সিগারেট এনে রাখলে ভালই বিক্রি হত। এই বৃষ্টির রাতে বাইরে সিগারেত আনতে যেতে পারছি না। সাথে ছাতাও নেই।"
আমি বললাম "আমি বাইরে যাচ্ছি, ছাতা আছে।"
ওনার জন্য সিগারেট কিনতে গিয়ে দেখি চায়ের দোকানে ভালই ভীড়। রাত বারোটায় মেসের লোকজন সিগারেট খেতে এসেছে। পরদিন চা বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনে আনলাম। তিন পদের সিগারেট রাখলাম। সন্ধ্যা সাতটার পরে আমার রাতের রান্নার কাজ শেষ হয়ে যায়। এর পরে শুরু হয় চা বানানোর পালা, টার্গেট একশ কাপ। মাস খানেক পরে দেখি দুইশ কাপ চা বিক্রি হচ্ছে- সময় রাত নয়টা থেকে বারোটা।
--চায়ে লাভ কত থাকত?
-চারশ টাকা।
--আর সিগারেটে?
-চারশ থেকে ছয় টাকা।
--কী বলেন?
-অনেকে পুরো প্যাকেট কিনত। অনেকে ছয়টা, অনেকে তিনটা। খুব কম লোক একটা করে কিনতেন।
--তার মানে আপনার আয় তখন কত ছিল?
-দিনে দেড় হাজারের উপরে!
--সেটা কোন সালের ঘটনা?
-এইতো ২০০৪/৫ এর দিকে।
--তার মানে ২০০৪/৫ সালে আপনার দৈনিক আয় ছিল দেড় হাজার করে মাসে ৪৫ হাজার টাকা! তখন একজন ম্যাজিস্ট্রেট বেতন পেতেন ১২ হাজার টাকা। বিশাল ব্যপার সেপার।
-সবই আল্লাহর ইচ্ছা। আমার ক্লাসমেটরা যখন বছরের পর বছর ধরে চাকরি খুঁজছিল আমার তখন ভালই ইনকাম। কিন্তু সেই সুখ বেশিদিন টিকল না। একদিন দেখি বাড়ীওয়ালা কয়েকজন লোক নিয়ে মেসে হাজির। সেই লোকজন বাড়ী ঘর মাপামাপি করল।
কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল এই বাড়ী নাকি ডেভেলাপার কোম্পানিকে দেয়া হবে। তখন এপার্টমেন্ট ফ্ল্যাটের ব্যবসা জমজমার ছিল। তারাই বিল্ডিং মাপতে এসেছে। বাড়ীওয়ালা সহ সেই লোকগুলো দুপুরে আমার ডাইনিং এ খাওয়া দাওয়া করল। পরের সপ্তাহে মেসের সামনে একটা সাইনবোর্ড বসানো হল। এখানে দশ তলা বিল্ডিং হবে।
সুতরাং, ছয় মাসের মধ্যে মেস খালি করে দিতে হবে। আমি আবার ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবতে লাগলাম।
চার মাসের মাথায় মেস খালি হয়ে গেল। আমার ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ। অবশ্য এই কয়দিন আমি পুরো ঢাকা শহর চষে বেড়িয়েছি, কোথায় কী কাজ করা যায়। উত্তরা রাজলক্ষী মার্কেটের সামনে ভাজা পোড়া আইটেম নিয়ে ভ্যানে বসে পড়লাম। মার্কেট পেতে সময় লাগল না। তখন টিকার রোল জনপ্রিয় ছিল। উত্তরা এলাকায় আমিই প্রথম এটা চালু করেছি। এখন অবশ্য এরকম অনেক দোকান আছে। সেই ভ্যান থেকে দিনে হাজার খানেক লাভ থাকত। কিন্তু আমার যে এতে পোষায় না। এর আগে আয় ছিল ৪৫ হাজারের উপরে। রাজলক্ষীর পাশের এক হোটেল মালিক আমায় ধরলেন কিছু আইটেম রান্না করে দিতে। হাঁড়ি হিসেবে টাকা দিবেন। আমি খিঁচুড়ীর কন্ট্রাক্ট নিলাম। পাতিল প্রতি ৫০০ টাকা। কামারপাড়ায় তখন মানুষ কম থাকত। আমি একতা খোলা জায়গা ভাড়া নিয়ে রান্না শুরু করেছিলাম। ভ্যানের দায়িত্ব দিলাম আরেকজনকে। ভ্যানের রান্না বান্না এখান থেকেই করে দিতাম। ভ্যানে শুধু বিক্রিই হত।
দুই একজন লোককে গ্রাম থেকে এনে চাকরি দিলাম। কেউ তরকারী কেটে দেয়, কেউ হেল্পারের কাজ করে।
এই এক পাতিলের সুনাম আশেপাশের হোটেলে ছড়িয়ে পড়েছিল। আরো দুই তিনটা হোটেল থেকে অফার আসল। আমি তাদের জন্যেও রান্না করে দিতাম। বছর খানেক পরে দেখি আমি পাঁচটা হোটেলে খিঁচুড়ী সাপ্লাই দিচ্ছি ও আট টা ভ্যানের ভাজা পোড়া সাপ্লাই দিচ্ছি। আমার তখন দৈনিক আয় ৫ হাজারের উপরে!!!
--সেটা কোন সালের ঘটনা?
-২০০৬/৭ এর দিকে। তখন বয়স ছিল ২৬ কি ২৭
--তার মানে আপনার ২৭ বছর বয়সে মাসিক আয় ছিল দেড় লাখ টাকা!!! গলা শুকিয়ে গেছে, এক গ্লাস পানি দেন।
-আরে পানি খাবেন কেন কোক খান। আর এসি কি বাড়িয়ে দেব?
এতক্ষন যার কথা বললাম উনি ঢাকার একটা রেস্টুরেন্ট গ্রুপের মালিক। ওনার ছয়টা রেস্টুরেন্ট আছে। মাসে দশ বারো লাখ টাকা আয় করেন। বিশেষ একটা কারণে ওনার সাথে আমার এক বন্ধুর (আয়কর কর্মকর্তা) কথপোকথন এর অংশ বিশেষ তুলে ধরলাম যাতে অনেকে এই লেখা পড়ে উৎসাহ পায়।
সারমর্মঃ কোন কাজ ছোট নয়। বেকার বসে না থেকে যেকোন একটা কাজে নেমে পড়ুন।
Reference: F. Isla


মন্দিরে অনেক ধন সম্পদ জমা রয়েছে। তাছাড়া প্রতিদিন আরো জমা হচ্ছে। সবার নজর এই সম্পদের উপর। এরমাঝে একজনের দৃঢ প্রতিজ্ঞা, যেইভাবে হউক ভিতরে যেতে হবেই, দায়িত্ব নিতেই হবে। কলে বলে কৌশলে ভিতরে প্রবেশ করে। ক্লান্ত পরিশ্রান্ত হয়ে পানি পান করে শুয়ে পডে মন্দিরের ভিতরে। লম্বা ঘুম। ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখে চারদিকে অসংখ্য চোখের চাওনি। অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে তারদিকে। বলতে চায় অনেক কিছু কিন্তু মুখে আসেনা তাই বলা হয়না।
নিজেকে সংযত করে। না মন্দিরের সম্পদ আমার নয়। এটা ছোঁয়া যাবেনা। এটা শুধু এই অসহায় মানুষদের। আর হানাহানী নয় এদের সাথে। আমি শুধু এদের দেবতা পারি। দরজা খুলে বের হয়ে আসেন। মিশে গেলেন জনতার মাঝে।
পুরোটাই কাল্পনিক। তবুও এখন দেখার পালা, আমরাকি নিজেকে সংযত রাখতে পারবো??
( অনেক ইশারা ইংগিতে বলতে হয়। সরাসরি বলা যায়না। বুদ্ধিমানগন ঠিকই বুঝে নেন।)
Like
Comment
Comments
Hr Sobuz sundor post ....
LikeReply118 hrs
Arman R Hossain diplomatic status, uncle
LikeReply218 hrs
Maksud Rahman Nizam সবাইতো diplomatic হয়ে যাচ্ছে Arman R Hossainuncle.
LikeReply118 hrs
Arman R Hossain করার কিছু নাই,নজর পড়ার আশংকা থাকলে পর্দাযুক্ত স্ট্যাটাসই শ্রেয় smile emoticon Maksud Rahman Nizam uncle
LikeReply218 hrs
Mohammad Jahangir Alam মন্দিরে যখন ঢুকেই পড়েছি বের হবোনা, সম্পদগুলোর রক্ষনা বেক্ষনের দায়িত্ব নিবো। সঠিক পথে পরিচালনা করবো। কাল্পনিক সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ Maksud Rahman Nizam ভাই।
LikeReply118 hrs
Maksud Rahman Nizam বের তো হতেই হবে। বের না হলে জনতার সাথে মিশবেন কিভাবে? Mohammad Jahangir Alam সাহেব।
LikeReply117 hrs
Maksud Rahman Nizam নিরুপায়! নজর থেকে বাচতে হলে কপালে কালো টিপ দিতেই হবে Arman R Hossain.
LikeReply17 hrs
Mohammed Alamgir পূর্ণরজনী দেবতার আশির্বাদ পুষ্ট হয়ে তিনি শুদ্ধ হলেন। ভাল লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে Maksud Rahman Nizam সাহেব।
LikeReply14 hrs
Ali Ashraf আক্কইল্লারে ইশারা, বেক্কইল্যারে ঠেশারা......
আশা করি আমাদের আক্কল আছে....
ধন্যবাদ Maksud Rahman Nizam ভাই।

LikeReply2 hrs


সবাইকে পড়ার জন্য বিনীত ভাবে অনুরুধ করা গেলো। 
একদিন ৮০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ পিতা ও
তারপুত্র
তাদের বাগানের একটা বেঞ্চে বসেছিল
। হঠাৎ
একটি কাক এসে বসলো, তার পিতা
জিজ্ঞেস
করলেন, "এটা কি ?" পুত্র বলল - "এটি একটি
কাক ।"
কয়েক মিনিট পর, পিতা আবার জিজ্ঞেস
করলেন ,
"এটা কি ? পুত্র বলল - "আমি তো কেবলি
বললাম
এটা একটা কাক ।" একটু পর আবার পিতা
জিজ্ঞেস
করলেন, "এটা কি ?" এবার পুত্র অনেকটা
বিরক্ত
হয়েই কর্কশগলায় বলল ,"এটা একটা কাক,
এটা একটা কাক ।" এবার পিতা ৪র্থ
বারের মত
জিজ্ঞেস করলেন "এটা কি ?" এবার পুত্র
প্রচণ্ড
রেগে গেল, রাগের
চোটে কাঁপতে কাঁপতে চিৎকারকরে
পিতাকে ধমক
দিয়ে বলল "তুমি কেন বার বার
আমাকে একি কথা জিজ্ঞেস করছ ?
আমি তো তোমাকেবহুবার বললাম
এটা একটা কাক,এটা একটা কাক, চোখ
নেই তোমার,
বুঝতে পার না ?" বৃদ্ধ পিতা কোন
কথা না বলে তিনি হেঁটে হেঁটে চলে
গেলেন ।
একটু পর ফিরে এলেন একটা ডায়রি সাথে
নিয়ে ।
তিনি তার পুত্র কে বললেন "এটা পড়,
মনোযোগ
দিয়ে পড়বে ।" "আজ আমি আমার ৩ বছর
বয়সী ছেলের সাথে বাগানের
বেঞ্চিতে বসেছিলাম । হটাৎ একটা কাক
এসে বসলো । আমার ছেলে আমাকে
২৩বার
জিজ্ঞেস করল "এটা কি?" আর আমি ২৩
বারউত্তর
দিলাম "এটা একটা কাক ।" তাকে
প্রতিবার উত্তর দেবার
সময় তাকে গভীর ভালবাসায় জড়িয়ে
ধরেছিলাম ।
আমার পুত্র আমাকে একি প্রশ্ন ২৩ বার
জিজ্ঞেস
করেছে এবং আমি একটুও বিরক্ত বোধ
দেখাইনি আমার নিস্পাপ ছেলেটার
প্রতি ।" পুত্রের
চোখের কোনে জল জমতেশুরু করল । পুত্র
ডায়রিটা বন্ধ করে গভীর ভালবাসায়
তার
পিতাকে জড়িয়ে ধরল । আর ধরা গলায়
বলল "Sorry
Baba". অনেক সময়ই আমরা আমাদের
বাবা - মায়ের
সাথে খারাপ ব্যাবহারকরি, উচু গলায়
কথা বলি ।
কখনো কি ভেবে দেখেছেন কি পরিমান
ভালবাসা আর কষ্ট করেছেন তারা
আমাদের বড় করার
জন্য ? পৃথিবীর কোনকিছু দিয়ে কি
তাদের এই
ঋণ শোধ করা সম্ভব..?

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment.

 

SSC Chemistry

SSC Chemistry

 
Blogger Templates