র্যটক/পরিব্রাজক এই উপমহাদেশে আসেন। বিভিন্ন দেশ মালদ্বিপ, শ্রীলঙ্কা, কেরালা এইসব দেশ ঘুরে মরক্কোর এই পরিব্রাজক এই বঙ্গদেশ সফর করেন। এইখানে তিনি সিলেটে হযরত শাহজালাল (রঃ) এর সাথে সাক্ষাতসহ অনেক গুলো ঘটনা ঘটে। সে যাই হোক সফর শেষে পরবর্তীতে তিনি তার ভ্রমণ গ্রন্থের কোন একজায়গায় বঙ্গদেশ সম্পর্কে বলতে গিয়ে তুলনা করেন "এই এক সম্পদ পূর্ণ নরক"। ভাবতে অবাক লাগে আজ ৬৭০ বছর পরও তার এই মন্তব্য কে এখনও প্রাসঙ্গিক আর বাস্তব মনে হয়।
আমাদের প্রজন্মের যারা শৈশবে ভোটের যে সংস্কৃতির কথা প্রায় ভুলে যাচ্ছি ২৫/৩০ বছর পর সেই নোংরা স্মৃতি গুলোকে আজ আবার বাস্তব হতে দেখলাম। সভ্য হতে আমাদের আর হয়ত অনেক সময় লাগবে।
শুরুর প্রশঙ্গে আসি, বড় আশার কথা যে এত হতাহতের মধ্যে আমাদের প্রিয় ছয়ানির মানুষকে আল্লাহ রক্ষা করেছেন। এমনকি গুরতর আহত হবার কোন ঘটনা ঘটেনি। এই টাই প্রতিয়মান হয় যে, আমার সমাজে সভ্যতার কিছু আলো জ্বলতে শুরু করেছে। তবে আমাদের প্রত্যাশার তুলনায় তা আজো নগন্য।
গতকালের নির্বাচনে যদি সত্যি সবাই অসভ্য হত তাহলে তাহলে আজকের লিখা টা অন্যভাবে লিখতে হত। একদিকে আমি জামাল চেয়ারম্যান এর পরিবারের সদস্য অন্য দিকে এলাকার জঞ্জাল, কন্দল পূর্ণ রাজনীতি থেকে নিজেকে নিভৃত রাখার কারনে দুই পক্ষের কার্যক্রম ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ হয়েছে। আমার প্রতিপক্ষের একদল প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে আমার মামা জামাল চেয়ারমান'র কর্মীকে হামলার জন্য আমার সামনে দিয়ে মহড়া দিচ্ছে আবার আমার চোখাচোখি হবার পর সালাম দিয়ে এগিয়ে এসে হাত মিলালো। একটু লজ্জা ও পেল মনে হয়। আমি মনে মনে হাসলাম, আর ঈশ্বর কে ধন্যবাদ দিলাম। ৪ দিন আগে বাজারে জামাল চেয়ারম্যান'র কলেজ পড়ুয়া নিরাপরাধ কিশোর ছেলেকে প্রতিপক্ষরা মারার পরও ক্ষুব্ধ নেতা কর্মীরা চেয়ারম্যান কে বারবার চাপ দিচ্ছিল তারাও এর পাল্টা জবাব দিবে। কিন্ত জামাল চেয়ারম্যান বরাবর অটল থেকেছেন কোন প্রকার সহিংসতায় না যাবার। ভোটের আগের রাত পর্যন্ত তাকে অনেকে চাপ দিচ্ছিল শক্তির বিপরিতে শক্তি প্রদর্শনের জন্য। এলাকার বাইরে থেকে অনেকে প্রস্তাব দিচ্ছিল আমরা সবরকম সহযোগিতা নিয়ে প্রস্তউত। কিন্ত তিনি বারবার একটা উত্তরই দিয়েছিলেন "আমি একটা দায়িত্তশীল জায়গায় থেকে এমনটি কখনই করতে পারবনা। মানুষের জীবন বাজি রেখে চেয়ারমান হওয়ার ইচ্ছা আমার নাই। ইউনিয়ন এর জনগনের যে সন্মান আর ভালবাসা আমি পেয়েছি অন্য কোন কিছুর বিনিময়ে আমি হারাতে চাইনা।"
এক অদ্ভত বিস্ময়ে আমি এক পরিপক্ক নেতা কে দেখছি, একজন সত্যিকার মানুষ কে দেখছিলাম।
মামা হিসেবে নয় একজন সত্যিকার মানুষ হিসেবে তার প্রতি শ্রদ্ধাটা কোটিগুণ বেড়ে গেল। বিবেকের সত্যকার আলো তিনি ছড়াতে পেরেছেন।
আজকে যেভাবেই হোকনা কেন যিনি নতুন চেয়ারমান হচ্ছেন আমি চাই তিনি ও সব ঝেড়ে, পরিবরতিত হয়ে নতুন করে তার আলোর প্রদীপ জ্বালাবেন। আমাদের এই ছয়ানিকে আলোকিত করতে আরও অনেক প্রদীপের প্রয়োজন। সত্যি আরও অনেক আলোর দরকার।
গ্রীন-ব্রাইট সেই নব নব প্রদীপ জালানোর কাজটি করে যাবে আশা করি।
আমাদের প্রজন্মের যারা শৈশবে ভোটের যে সংস্কৃতির কথা প্রায় ভুলে যাচ্ছি ২৫/৩০ বছর পর সেই নোংরা স্মৃতি গুলোকে আজ আবার বাস্তব হতে দেখলাম। সভ্য হতে আমাদের আর হয়ত অনেক সময় লাগবে।
শুরুর প্রশঙ্গে আসি, বড় আশার কথা যে এত হতাহতের মধ্যে আমাদের প্রিয় ছয়ানির মানুষকে আল্লাহ রক্ষা করেছেন। এমনকি গুরতর আহত হবার কোন ঘটনা ঘটেনি। এই টাই প্রতিয়মান হয় যে, আমার সমাজে সভ্যতার কিছু আলো জ্বলতে শুরু করেছে। তবে আমাদের প্রত্যাশার তুলনায় তা আজো নগন্য।
গতকালের নির্বাচনে যদি সত্যি সবাই অসভ্য হত তাহলে তাহলে আজকের লিখা টা অন্যভাবে লিখতে হত। একদিকে আমি জামাল চেয়ারম্যান এর পরিবারের সদস্য অন্য দিকে এলাকার জঞ্জাল, কন্দল পূর্ণ রাজনীতি থেকে নিজেকে নিভৃত রাখার কারনে দুই পক্ষের কার্যক্রম ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ হয়েছে। আমার প্রতিপক্ষের একদল প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে আমার মামা জামাল চেয়ারমান'র কর্মীকে হামলার জন্য আমার সামনে দিয়ে মহড়া দিচ্ছে আবার আমার চোখাচোখি হবার পর সালাম দিয়ে এগিয়ে এসে হাত মিলালো। একটু লজ্জা ও পেল মনে হয়। আমি মনে মনে হাসলাম, আর ঈশ্বর কে ধন্যবাদ দিলাম। ৪ দিন আগে বাজারে জামাল চেয়ারম্যান'র কলেজ পড়ুয়া নিরাপরাধ কিশোর ছেলেকে প্রতিপক্ষরা মারার পরও ক্ষুব্ধ নেতা কর্মীরা চেয়ারম্যান কে বারবার চাপ দিচ্ছিল তারাও এর পাল্টা জবাব দিবে। কিন্ত জামাল চেয়ারম্যান বরাবর অটল থেকেছেন কোন প্রকার সহিংসতায় না যাবার। ভোটের আগের রাত পর্যন্ত তাকে অনেকে চাপ দিচ্ছিল শক্তির বিপরিতে শক্তি প্রদর্শনের জন্য। এলাকার বাইরে থেকে অনেকে প্রস্তাব দিচ্ছিল আমরা সবরকম সহযোগিতা নিয়ে প্রস্তউত। কিন্ত তিনি বারবার একটা উত্তরই দিয়েছিলেন "আমি একটা দায়িত্তশীল জায়গায় থেকে এমনটি কখনই করতে পারবনা। মানুষের জীবন বাজি রেখে চেয়ারমান হওয়ার ইচ্ছা আমার নাই। ইউনিয়ন এর জনগনের যে সন্মান আর ভালবাসা আমি পেয়েছি অন্য কোন কিছুর বিনিময়ে আমি হারাতে চাইনা।"
এক অদ্ভত বিস্ময়ে আমি এক পরিপক্ক নেতা কে দেখছি, একজন সত্যিকার মানুষ কে দেখছিলাম।
মামা হিসেবে নয় একজন সত্যিকার মানুষ হিসেবে তার প্রতি শ্রদ্ধাটা কোটিগুণ বেড়ে গেল। বিবেকের সত্যকার আলো তিনি ছড়াতে পেরেছেন।
আজকে যেভাবেই হোকনা কেন যিনি নতুন চেয়ারমান হচ্ছেন আমি চাই তিনি ও সব ঝেড়ে, পরিবরতিত হয়ে নতুন করে তার আলোর প্রদীপ জ্বালাবেন। আমাদের এই ছয়ানিকে আলোকিত করতে আরও অনেক প্রদীপের প্রয়োজন। সত্যি আরও অনেক আলোর দরকার।
গ্রীন-ব্রাইট সেই নব নব প্রদীপ জালানোর কাজটি করে যাবে আশা করি।
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment.