Post Collected from GBC Fb Group
তোমাকে ক্লাসে সেরা হতেই হবে—
স্কুলে যাওয়ার প্রথম দিন থেকেই শিশুর মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয় এই মন্ত্র।
স্কুলে যাওয়ার প্রথম দিন থেকেই শিশুর মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয় এই মন্ত্র।
শিশুও হয়তো বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করে যায় আপ্রাণ চেষ্টা। ক্লাসের মূল্যায়ন পরীক্ষা গুলোয় শিশুটি ভালো ফল নিয়ে উতরে যাচ্ছে প্রতিটি ধাপ। কিন্তু একটা পর্যায়ে গিয়ে দেখা গেল, যে শিশুটি ক্লাসের সেরা শিক্ষার্থী ছিল,সে-ই একটু ওপরের শ্রেণিতে ওঠার পর সেরা ফল করা তো দূরের কথা, হয়তো ছিটকে পড়েছে প্রথম দশের বাইরে। সন্তান কেন দশের মধ্যে থাকতে পারল না—এই নিয়ে অভিভাবকেরা সন্তানদের ওপর এমন মানসিক চাপ প্রয়োগ করে থাকেন,যা শিশুর মনোবল আরও ভেঙে দেয়। অনেক বাবা-মাকে দেখা যায়, যাঁরা সন্তানের সঙ্গে ভালোভাবে কথা পর্যন্ত বলেন না। এমনকি শিশুর গায়ে পর্যন্ত হাত তুলতে দ্বিধা করেন না।বাবা-মাকে একটা বিষয় সব সময়ই মনে রাখতে হবে, যেকোনো মানুষের জীবন কখনোই একই ভাবে চলতে পারে না। বড়দের জীবনেও যেমন উত্থান-পতন আছে, তেমনি ছোট শিশুর শিক্ষা জীবন যে একই গতিতে চলবে, এমনটা নয়। এ অবস্থায় সন্তানকে কোনো শারীরিক বা মানসিক চাপ প্রয়োগ না করে তাকে ভালোভাবে বুঝিয়ে বলুন। তাকে এভাবে বলুন যে তার ফল ভালো না হওয়ায় আপনি কতটা মানসিক কষ্ট পেয়েছেন। সারা দিন ধরে এই যে এত খাটুনি, সেটা যে শুধু ওর ভালো থাকার জন্য, সেটাও বুঝিয়ে বলুন। শিশুটি যখন বড় হতে থাকে, তখন একেকটা পর্যায়ে তার মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হয়ে থাকে। ছোট শিশুদের পড়াশোনা বাদ দিয়ে টেলিভিশন দেখা আর খেলাধুলা করারএকটা নেশা হয়ে থাকে। এ সময় অনেক বাবা-মাকে দেখা যায় যে তাঁরা হয়তো শিশুটির টেলিভিশন দেখা বা খেলাধুলা সবকিছুই বন্ধ করে দিচ্ছেন। এতে করে বাচ্চাদের জেদ আরও বেড়ে যায়। সবকিছু বন্ধ করে না দিয়ে একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিতে হবে এবং কেন এই সময়টা ভাগকরে দেওয়া হয়েছে, সেটাও তাকে বুঝিয়ে বলতে হবে। অনেক বাবা-মাকেই বলতে শোনা যায় যে আমরা কত কঠোর শাসনে বড় হয়েছি, কই এমনটা তো আমরা করিনি।অভিভাবকদের এটা বুঝতে হবে যে তাঁদেরসময় এবং এখনকার সময়ের মধ্যে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য। তাঁদের বড় হয়ে ওঠার কৌশল গুলো যদি সন্তানের ওপর প্রয়োগ করা হয়, তাহলে তো কোনো কাজই হবে না। বরং হিতে বিপরীত হয়ে দাঁড়াবে। বয়ঃসন্ধির সময় এখন যেমনটা দেখা যায়,ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার চেয়ে বাইরের জগৎ নিয়েই কৌতূহল বেশি থাকে।এটাও অনেক সময় ফল খারাপ হওয়ার একটা কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই বয়সী ছেলে মেয়েদের সঙ্গে বাবা-মায়ের সম্পর্কটা একটু বন্ধুত্বপূর্ণ এবং আন্তরিক হতে হবে। যাতে করে তাদের ভুল গুলো শুধরে দেওয়া যায়। শুধু বাবা-মাকেই নয়, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এসব বিষয়ে সচেতন হতে হবে। কোনো শিক্ষার্থীর ফল খারাপ হলেতার জন্য বিদ্যালয়েই বিশেষ কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা রাখা উচিত। ব্যক্তিগত বা পারিবারিক কোনো কারণে ছেলে বা মেয়েটি পড়াশোনার প্রতিমনোযোগ হারিয়ে ফেলেছে কি না, সেজন্য অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটাও শিক্ষকের কর্তব্য।
সবশেষে অভিভাবকদের উদ্দেশে আরেকটা বিষয় বলব, বেশির ভাগ মা-বাবাই কোচিং,স্কুল, টিউটর, নাচ-গান, ছবি আঁকা শিখিয়ে শিশুটিকে সর্বসেরা করে গড়ে তুলতে চান। এত কিছু একটা সময় শিশুর কাছে বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। একটা পর্যায়ে গিয়ে সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে না। শুধু পাঠ্যবইয়ের পড়াশোনায় একজন মানুষকে পরিপূর্ণ করে তুলতে পারে না। এর পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমের প্রয়োজন। তবে তা যেন শিশুটির ধারণ ক্ষমতার মধ্যে থাকে। তবেই শিশু একজন সুস্থবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে।।
সবশেষে অভিভাবকদের উদ্দেশে আরেকটা বিষয় বলব, বেশির ভাগ মা-বাবাই কোচিং,স্কুল, টিউটর, নাচ-গান, ছবি আঁকা শিখিয়ে শিশুটিকে সর্বসেরা করে গড়ে তুলতে চান। এত কিছু একটা সময় শিশুর কাছে বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। একটা পর্যায়ে গিয়ে সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে না। শুধু পাঠ্যবইয়ের পড়াশোনায় একজন মানুষকে পরিপূর্ণ করে তুলতে পারে না। এর পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমের প্রয়োজন। তবে তা যেন শিশুটির ধারণ ক্ষমতার মধ্যে থাকে। তবেই শিশু একজন সুস্থবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে।।
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment.