Love for Beloved Chhayani Union

Tuesday, 16 August 2016

হুমায়ূন আহমেদ নির্দিধায় একজন গুনি মানুষ। ওনার অনেক বই পড়েছি পড়ার বইয়ের মাঝে লুকিয়ে।

Post Collected from GBC Fb Group
হুমায়ূন আহমেদ নির্দিধায় একজন গুনি মানুষ। ওনার অনেক বই পড়েছি পড়ার বইয়ের মাঝে লুকিয়ে। অসাধারণ ক্ষমতা তার মানুষকে মুগ্ধ করার। তার বই, নাটক, সিনেমা, গান সবই ভালো লাগে আমার। কোথাও কেও নেই থেকে শুরু করে ঘেটুপুত্র কমলা সবই দেখেছি। অনেক সাধারন ভাবে অনেক জটিল বিষয় তিনি তুলে ধরেছেন। লেখক, নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ কে নিয়ে বলার কিছু নেই, তিনি অসাধারণ। কিন্তু ব্যাক্তি হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে বলার আছে।আজ রবিবার নাটক যখন টিভিতে দেখাতো তখন শাওন ও শিলা দু’জনের অভিনয়ই এতো ভালো লাগতো যে, কে বেশী প্রিয় হিসেব করাটা কঠিন ছিল। কিন্তু যখন থেকেই একটু একটু শুনতে পেলাম যে হুমায়ূন আহমেদ ও শাওনের মাঝে কোন সম্পর্ক আছে, তখন শিলার জন্য খুব খারাপ লাগতো। তখনও গুলতেকিন এবং শাওন বিষয়টি মাথায় আসেনি। যখন হুমায়ূন আহমেদ বিয়ে করলেন শাওনকে তখন আমি ও ভালোবাসা কি বুঝে গেছি, তাই খারাপ লাগাটা ছিলো কেবলই গুলতেকিনের জন্য। আমি কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছিলাম না যে হুমায়ূন আহমেদ ও গুলতেকিন খান আলাদা হয়ে গেছেন। কারন হুমায়ূন আহমেদের যত বই পড়েছিলাম তার মাঝে সবচেয়ে ভালো লেগেছিল তার লিখা বই “হোটেল গ্রোভার ইন”, যেখানে তিনি লিখেছিলেন গুলতেকিন খানের সাথে ব্যাক্তিগত জীবন তথা প্রেম ও ভালোবাসা নিয়ে । আমার কাছে মন হতো আমার প্রেমটি ও হবে হুমায়ূন আহমেদ ও গুলতেকিন খানের মত। তাই তাদের বিচ্ছেদ হজম করতে আমার খুব সমস্যা হয়েছিলো। হুমায়ূন আহমেদ ও শাওনের প্রতি ছিল তীব্র অভিমান।
কেও কিন্তু কখনো হুমায়ূন আহমেদের বিরুদ্ধে বলতে সাহস পাননি তিনি জিবীত থাকা অবস্থায়। শুধু পুরুষ সে কারনেই নয় বরং হুমায়ূন আহমেদের উপর নির্ভর করতো অনেকের আয় ও ক্যারিয়ার। এমন অনেক মানুষ আছেন যারা হুমায়ূন আহমেদের সাথে কাজ করা শুরু করেছিলেন গুলতেকিন খানের সময় থেকে। তাদের মাঝ থেকে আজও যারা এখনো পর্যন্ত যারা শাওনের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন তারা শাওনের জন্য নয় বরং উত্তরাধিকার সূত্রে হুমায়ূন আহমেদের নামটি শাওনের সাথে জুড়ে থাকার জন্যে।
সবুরে মেওয়া ফলে, এ কথাটি যেমন ঠিক; তেমনি সবুরে যে মেওয়া পচে ও যায় তার প্রমাণ হল গুলতেকিন খানের ইন্টারভিউ। পত্রিকা থেকে যতটুকু জেনেছি হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় বিয়ের পরপরই হুমায়ূন আহমেদ গুলতেকিন খান দুজন দুটি লিখা দেন, যেটি পাশাপাশি ছাপানোর কথা ছিল, কিন্তু ছাপানো হয়নি। গুলতেকিন খান তখন চাইলে ভিন্ন পত্রিকা বা মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারতেন তার অভিমত। করলে এক অর্থে ভালো হত, হুমায়ূন আহমেদ নিশ্চয়ই তার জবাব দিতেন। কাদা ছোড়া-ছুড়ি তো এখনো হচ্ছে, তাই তখন হলেই ভালো হত। বরং আজ এতো বছর পর মহান লেখকের মৃত্যু দিবসে তার সম্পর্কে অভিযোগ করে গুলতেকিন খানের পাপ করতে হতনা। তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে, পাঠকের সাথে তো আর সম্পর্ক ছিন্ন হয়নি তাই পাঠক কিভাবে সহ্য করে এই সব অপবাদ!!! আবার ভেবে দেখুন ২০১৬ সালের এই দিনে একজন একজন ব্যাক্তির অনুপস্থতিতে তাকে নিয়ে কথা বলাতে কেমন ঝড়ের মুখে পড়তে হয়েছে গুলতেকিন খানকে। তাহলে ২০০৩ সালে, আজ থেকে প্রায় ১৩ বছর আগে এই কথা গুলো হুমায়ূন আহমেদের সামনে বললে গুলতেকিন খানকে কেমন ঝড়ের মোকাবেলা করতে হত! সে জন্য তিনি এখন বলে এক অর্থে যথার্থই করেছেনে বটে!
ফেসবুকের বদলতে হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন ও মৃত্যু দিবসে অনেকে অনেক কথা লিখেন। শেষ বছর হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে সবার ভালবাসা দেখে আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছিল, এই হুমায়ূন আহমেদ হওয়ার পিছে যে মানুষটির অবদান ছিল, যে ১৯-২০ বছরের ধনীর দূলালী সুদূর আমেরিকা গিয়ে বেবি সিটিং করেছিলেন সংসারে স্বচ্ছলতার জন্য , নন্দিত নরকে প্রকাশ করার জন্য, তার অনুভূতি কি? তিনি কি মনের ভাব প্রকাশ করেছেন ফেবু স্ট্যাটাস দিয়ে, মুড়াল উদ্ভোধন করে, কেক কেটে!!! না, করেনি । হাজারো হুমায়ূন এর পিছে লুকায়িত থাকে হাজারো গুলতেকিন। হুমায়ূনরা যত উপরে উঠে গুলতেকিনরা তত উপরে উঠে না, কারণ হূমায়ূনদের উপরে তুলতে যেয়ে গুলতেকিনরা নিঃস্ব হয়ে যায় । হুমায়ূনরা নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছানোর পর গুলতেকিনদের ভুলে যায়, গুলতেকিনেরা তখন বোঝে হয়ে যায়, অসুন্দর হয়ে যায়, গুলতেকিনেরা অসহনীয় হয়ে উঠে, তখন এই সমস্ত তুচ্ছ গুলতেকিনদের যন্ত্রণা থেকে বের হয়ে আসতে সঙ্গী হিসেবে অসাধারণ রূপবতী ও বুদ্ধিমতি কন্যার প্রোয়জন হয়। আর বেচারি গুলতেকিন, কাগজের সম্পর্ক, এক কলমের খোঁচায় শেষ,তাই সমাজ, সংসার, অভিমান আর অবহেলায় বলতে পারে না "তোমার জন্মদিনটি আমার মনে আছে।মনে আছে প্রতিটি দিন।প্রতিটি অভাব, কারণ সেই অভাবে ও ছিল ভালবাসো। ছিল সারাটি জীবন একসাথে চলার প্রতিঙ্গা।ছিলনা কোন পাওয়ার হিসাব , ছিল কেবলই ভালবাসা, হিসাব ছাড়া ভালবাসো ।"
হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যু দিনে সাক্ষাতকার দেয়াটা ভুল হয়েছে নাকি তার প্রাক্তন স্বামী, লাখো মানুষের প্রিয় লেখক সম্পর্কে নেগেটিভ চরিত্র তুলে ধরার জন্য এটা অপরাধ মনে হচ্ছে! কতটুকু ভালোবাসা থাকলে একজন মানুষের এতগুলো বছর লেগেছে নিজেকে শক্ত করতে এবং ভালোবাসার মানুষের বিপক্ষে যেয়ে নিজের অপমান ও অধিকারের কথা বলতে! হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর গুলতেকিন খান গিয়েছিলেন ওনার কবর দেখতে, কিন্তু আজ যদি চিত্র বিপরীত হত, অর্থাৎ গুলতেকিন খান আগে মারা যেতেন তবে হুমায়ূন আহমেদ কি যেতেন উনার কবর দেখতে!! কবরের পাশে থাকা অবস্থায় উনার চোখে যে পানি ছিল, সেটা কি ঘৃনা ছিল!! হুমায়ূন আহমেদ কিন্তু গুলতেকিন খানকেই ছেড়ে যাননি, ছেড়ে গিয়েছিলো উনার তিন কন্যা কেও! তাই গুলতেকিন কিন্তু কেবল শুধু নিজেকেই সামলাননি, সামলেছেন তিন কন্যা কেও; যে বিপাশা তার বাবা বাইরে যাবার সময় বাবার গায়ের ঘ্রান ভরে রাখতো বোতলে, সেই বিপাশা কেও! এই বিষয়ে তো কোন দিন কেও বাহবা দেননি গুলতেকিন কে, তাহলে একটি সাক্ষাৎকারে কেন এতো নেগেটিভ বক্তব্য!!
হুমায়ূন আহমেদ কোন নারীকে তৈরী করেননি বরং বেঁছে বেঁছে তিনি মেধাবী ও সুন্দরি নারীদের প্রেমেই পরেছেন। হুমায়ূন আহমেদ না থাকলে ও শাওন প্রস্ফুটিত হতেন। শাওনের প্রতি আমার অভিমান শেষ হয়ে যায় হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর। কারন আমি শাওনের অবস্থানটি অনুভব করতে পারি। শাওন নিজেও মেধাবী, মেধার কারনেই হুমায়ূন আহমেদ শাওনের প্রমে পরেছিলেন, বরং হুমায়ূন আহমেদের কারনে শাওন কোন দিনও নিজ পরিচয়ে দাড়াতে পারেননি!
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের উপন্যাস “দুই নারী হাতে তরবারি” অবলম্বনে নির্মিত ছবি “অপরাজিতা তুমি” দেখেছিলাম। এক পুরুষ কে নিয়ে দুই নারীর টানাটানি। কাহিনীতে জিতে যায় কিন্তু পুরুষটি। ঠিক তেমনি জিতে আছেন হুমায়ূন আহমেদ,বার বার পরাজিত হচ্ছেন এক গুলতেকিন ও এক শাওন!!(collected)
LikeShow more reactions
Comment
Comments
Shamsuddin Ahmed তা ঠিক। গুনি না হলে মেয়ের ক্লাস মিট বিয়ে করে কেমনে।
Humayon Kabir Shawdagar পৃথিবীতে বড় সব লেখকদের নারীদের নিয়ে টুকি টাকি.........আছে।
Anmona Sohel প্রিয় হুমায়ুন স্যারের লেখনি দিয়ে যতটা জনপ্রিয় হয়েছেন।আবার নিজের সস্তা পারসোনালিটির জন্য সমালোচিত হয়েছেন।
সব বিখ্যাত ব্যক্তির ব্যক্তিগত একটা সমস্যা থাকেই।হুমায়ুন স্যার তেমন একজন।
গুলতেকিনের জন্য সমবেদনা ছাড়া আর কিছুই বাকি থাকেনা।

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment.

 

SSC Chemistry

SSC Chemistry

 
Blogger Templates