Post Collected from GBC Fb Group
অন্তত একবার পড়ুন...
আমাদের অনেকেই হয়তো মার্কিন ধনকুবের জন হিসবার্গ-এর নাম জানি। বলা হয়ে থাকে, সত্তুর-আশির দশক সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালে মার্কিন অর্থনীতিকে পতনের হাত থেকে একাধিকবার রক্ষা করেছেন এ হিসবার্গ ও সে সময়ের আরো ২০ জন দেশপ্রেমিক ধনী ব্যক্তি। মার্কিন অর্থনীতিতে তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ তাই দেশটির সরকার হিসবার্গের নামে অসংখ্য সড়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউটের নামকরণ করেছেন।
যাহোক, এ হিসবার্গ কিন্তু এক দিনে তৈরি হননি।পিতৃপরিচয়হীন এ মানবতাবাদী ধনকুবেরের শৈশব-কৈশোর কেটেছে নিদারুণ অর্থ কষ্টে। ১৬ বছর বয়সের আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গ মুসলমান বিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন ক্ল্যান ক্লুক্স ক্ল্যান (সিসিসি) এ যোগ না দেয়ার তাকে দেশটির লুইজিয়ানার একটি বস্তি থেকে বের করে দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি রাত কাটাতে থাকলেন কেন্টারবেরী পার্কে। তিন বছর সেখানেই কাটালেন তিনি। কিন্তু একদিন পোশাক ময়লা হওয়ায় অজুহাতে কর্তৃপক্ষ তাকে পার্ক থেকে বের করে দেয় এবং ভবিষ্যতে সে পার্কে তার প্রবেশ চিরতরে নিষিদ্ধ করে।শারিরিকভাবে লুলা হিসবার্গ সেদিন এতটাই মনে কষ্ট পেয়েছেন যে, সঙ্গে সঙ্গে শপথ করেন- ভবিষ্যতে অনেক টাকার মালিক হলে এ পার্কটি তিনি কিনে নিবেন।
ঘটনার বিশ বছর পর তিনি যুৃক্তরাষ্ট্রের সেরা নবম ধনীতে পরিণত হলেন। আর ১৩ কিলোমিটারের সে পার্কটি নিলামে বিশাল অর্থ দিয়ে কিনে নিলেন। নিজের নামে পার্কের নামকরণ করে পার্কের গেটে একটি বিশাল সাইনবোর্ড সেটে দিলেন। আর সে সাইনবোর্ডে লিখে দিলেন- ‘এখন থেকে যে কোন বয়সের, ধর্মের, বর্ণের মানুষ যে কোন সময়ে বিনা বাধায় এ পার্কে অবাধে প্রবেশ করতে পারবেন।’
যাহোক, এ হিসবার্গ কিন্তু এক দিনে তৈরি হননি।পিতৃপরিচয়হীন এ মানবতাবাদী ধনকুবেরের শৈশব-কৈশোর কেটেছে নিদারুণ অর্থ কষ্টে। ১৬ বছর বয়সের আমেরিকার কৃষ্ণাঙ্গ মুসলমান বিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন ক্ল্যান ক্লুক্স ক্ল্যান (সিসিসি) এ যোগ না দেয়ার তাকে দেশটির লুইজিয়ানার একটি বস্তি থেকে বের করে দেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি রাত কাটাতে থাকলেন কেন্টারবেরী পার্কে। তিন বছর সেখানেই কাটালেন তিনি। কিন্তু একদিন পোশাক ময়লা হওয়ায় অজুহাতে কর্তৃপক্ষ তাকে পার্ক থেকে বের করে দেয় এবং ভবিষ্যতে সে পার্কে তার প্রবেশ চিরতরে নিষিদ্ধ করে।শারিরিকভাবে লুলা হিসবার্গ সেদিন এতটাই মনে কষ্ট পেয়েছেন যে, সঙ্গে সঙ্গে শপথ করেন- ভবিষ্যতে অনেক টাকার মালিক হলে এ পার্কটি তিনি কিনে নিবেন।
ঘটনার বিশ বছর পর তিনি যুৃক্তরাষ্ট্রের সেরা নবম ধনীতে পরিণত হলেন। আর ১৩ কিলোমিটারের সে পার্কটি নিলামে বিশাল অর্থ দিয়ে কিনে নিলেন। নিজের নামে পার্কের নামকরণ করে পার্কের গেটে একটি বিশাল সাইনবোর্ড সেটে দিলেন। আর সে সাইনবোর্ডে লিখে দিলেন- ‘এখন থেকে যে কোন বয়সের, ধর্মের, বর্ণের মানুষ যে কোন সময়ে বিনা বাধায় এ পার্কে অবাধে প্রবেশ করতে পারবেন।’
ব্যক্তিগত নোট: এ লেখাটি লেখার একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। তা হলো- ছয়ানীর অসংখ্য তরুণ-যুবকের সঙ্গে আমার পরিচয় ও ভাল সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার সূত্র ধরে তাদের সম্পর্কে একটি কমন জিনিস আমি লক্ষ্য করেছি। আর তা হলো- সবাই জীবন নিয়ে হতাশ এবং অধিকাংশই জানেনা তারা ভবিষ্যতে কী করবে। এছাড়া তাদের অধিকাংশেরই জীবনের কোনো লক্ষ্যমাত্রা নেই। বিষ্ময়ের ব্যাপার হলো এ হতাশাবাদীদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা অনার্স বা মাস্টার্স পাস করা গ্রাজুয়েট। লক্ষ্য না থাকার কারণে তারা কোন কিছু করেই আনন্দ পাচ্ছেনা; সন্তুষ্ট হতে পারছেনা। ফলশ্রুতিতে হতাশাও কাটছেনা। হতাশ ভাইদের বলছি, জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। প্রয়োজনে নিজে জীবন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে সমাজের সফল লোকদের থেকে পরামর্শ নিন।স্বার্থক জীবন গড়ুন।পিতামাতার মুখে হাসি ফুটান ও নিজের আলো সর্বত্র দিন। জীবনকে ভালবাসুন।সফলতা আসবেই।
কপিরাইট: গ্রীন ব্রাইট ছয়ানী।
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment.