Post Collected from GBC Fb Group
সেটা আমাদেরকে দিয়ে আমাদের সৃষ্টিকর্তা করিয়ে নিয়েছেন আমাদের পরিশ্রম দ্বারা। অহংকার কখনোই কোন মানুষের জন্য কল্যানকর কিছু বয়ে আনেনা। বিনয়,ভদ্রতা এবং সুন্দর ব্যবহার-ই প্রকৃতপক্ষে একটি মানুষের আসল পরিচায়ক। অহংকার শুধু পতন-ই ডেকে আনে। একজন অহংকারী কখনো চায় না, সে কারো আনুগত্য করুক বা কারো কোনো কথা শুনুক সে চিন্তা করে আমার কথা মানুষ শুনুক। সে চিন্তা করে আমি মানুষকে উপদেশ দেব মানুষ কেন আমাকে উপদেশ দিবে। তার এধরনের স্পৃহার কারনে তার মধ্যে এ অনুভূতি যে, সে কারো প্রতি আনুগত্য করার প্রয়োজন নাই। অহংকারীর এধরনের দাম্ভিকতা থেকে অনেক সময় অনেক অনেক হঠকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। পরে ভুল বুঝতে পেরেও নিজেকে শোধরানোর প্রয়োজন মনে করে না সেই অহংকারের কারনেই। অহংকারীগন অনেক সময় তার স্বার্থের প্রয়োজনে অনেক সত্যকে গোপন করে অন্যের কোন কৃতিত্ব নিজের কৃতিত্ব বলে দাবী করতেও লজ্জিতবোধ করেনা। প্রয়োজনে মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করতেও বিবেকে বাঁধে ন। একজন অহংকারী মনে করে, সে তার সাথী সঙ্গীদের চেয়ে জাতীগত ও সত্তাগত ভাবে বড় এবং সে অন্যদের থেকে স্বতন্ত্র। যার ফলে সে সমাজে এমন ভাবে চলাফেরা করে মনে হয় যেন তার মতো এত বড় আর কেউ নাই। আমরা মানুষ, আমাদের মাঝে মানবীয় দোষ-ত্রুটির অন্যতম অহংকার কোনো না কোনোভাবে জায়গা করে নিতে পারে। এটা বিচিত্র কিছু নয়। তবে আমাদের চেষ্টা করতে হবে, আমাদের মাঝে এমন ত্রুটি থাকলে তা দ্রুত শোধরে নেওয়া, যে সব কারণে এমন বদঅভ্যাস মনে জায়গা করে নিতে পারে, সেসব থেকে দূরে থাকা। আর যদি আমাদের মধ্যে এমন খারাপ গুণ বিদ্যমান না থাকে- তবে বিনম্রচিত্তে আল্লাহতায়ালা দরবারে শুকরিয়া আদায় করা এবং এই দোয়া করা যে, হে আল্লাহ! এমন ধরণের ত্রুটি হতে আমাকে সদা রক্ষা করো। -------- তাহের আহম্মদ
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment.