Love for Beloved Chhayani Union

Wednesday, 15 June 2016

যে ৭ ধরনের সহকর্মিকে কখনই বিশ্বাস করতে হয়না:

Post Collected from GBC Fb Group

যে ৭ ধরনের সহকর্মিকে কখনই বিশ্বাস করতে হয়না:
আপনি যদি স্বল্প বিশ্বস্ত কর্মপরিবেশে কাজ করে থাকেন তাহলে বুঝে নিবেন যে আপনি ঝুঁকিতে রয়েছেন। এই ধরনের পরিবেশের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হলো- কর্মীদের মাঝে উচ্চ প্রতিযোগিতা, প্রিয়ভাজনদের প্রতি বসদের আনুকুল্য প্রদর্শন প্রবণতা, বিস্তর পরচর্চা ও সহযোগিতার অভাব, আর ব্রেকরুম ফ্রিজ থেকে অহরহ খাবার চুরির ঘটনা!
এর একটির সঙ্গেও কি আপনার পরিচয় ঘটেছে? যাইহোক এখানে আপনি যে ধরনের সহকর্মীদের বিশ্বাস করতে পারেন না তাদের কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং এদের কীভাবে সামলাবেন সে সম্পর্কেও পরামর্শ রইল :
১. ঈর্ষাকাতর
এই ধরনের সহকর্মীরা তাদের অন্য সফল সহকর্মীদের মতোই হতে চায়। পরিণতিতে অসন্তোষ, অদূরদর্শিতা এবং কর্মীদের পারস্পরিক সম্পর্ক বিষাক্ত হয়ে ওঠার মতো ঘটনা ঘটে।
যারা আপনার সাফল্য দেখে ঈর্ষাকাতর হয়ে উঠতে পারে তাদের প্রতি সহানুভূতি ও সহযোগিতা প্রদর্শন করুন। এতে হয়তো তারা কিছুটা শান্ত হবে। তবে যেসব সহকর্মী সব সময়ই অন্যের সাফল্য দেখে পেট কামড়ায় তাদের কাছ থেকে এক শ হাত দূরত্ব বজায় রাখুন। কারণ আপনার সাফল্য দেখেও এদের চোখ ছানাবড়া হয়ে যাবে।
২. অসৎ
আপনার যদি এমন কোনো সহকর্মী থাকে যে সব সময়ই মিথ্যা কথা বলে বা আপনার কাজের কৃতিত্ব চুরি করে তাহলে ধরে নেবেন তারা অসৎ। মনে রাখবেন যদিও তাদের মিথ্যাচার সরাসরি আপনার ক্ষতি করছে না তথাপি কোনো বিষয়েই আপনি তাদের ওপর নির্ভর করতে পারবেন না।
এ ক্ষেত্রে আপনি অসৎ সহকর্মীর মিথ্যাচারের কারণে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বা তার আচার ব্যবহারের বিষয়ে অভিযোগ করুন। সরাসরি ব্যক্তি মানুষকে অভিযুক্ত করতে যাবেন না যেন।
৩. গুজব রটায়
কর্মক্ষেত্রে বন্ধুদের মাঝে সামান্য কিছু গুজব ছড়ানোটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু কোনো সহকর্মী যদি সারাক্ষণই গুজব রটানোয় ব্যস্ত থাকে তাহলে তা খুবই খারাপ লক্ষণ। গুজব অন্যদের সম্মান এবং অনুভুতির ক্ষতি করতে পারে। সুতরাং সাবধান থাকুন। কেউ যদি আপনার সামনে অন্যের কুৎসা রটায় তাহলে ধরে নিবেন সে আপনার পেছনে অন্যদের সামনে আপনার ব্যাপারেও কুৎসা রটায়।
কখনোই কোনো সহকর্মীর গুজবে কান দিতে যাবেন না। যদি তাকে এড়ানো একেবারেই অসম্ভব হয় তাহলে সে যে গুজবটি ছড়াচ্ছে সে ব্যাপারে সরাসরি দ্বিমত পোষণ করুন। আর যেসব সহকর্মীর গুজব ছড়ানোর অভ্যাস রয়েছে তাদেরকে পুরোপুরি এড়িয়ে চলাটাই উত্তম।
৪. অন্যকে হেয় করে
অন্যকে হেয় প্রতিপন্নকারী বা উপেক্ষাকারী সহকর্মীদের ব্যাপারে সব সময়ই সতর্ক থাকুন। এরা আপনার আইডিয়া চুরি করে নিজের বলে চালিয়ে দিবে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের সময় আপনাকে ইমেইল করতে ভুলে যাওয়ার ভান করবে।
প্রথমেই জেনে রাখুন তারা আপনার সঙ্গে এই ধরনের আচরণ করছে কারণ তারা আপনার সাফল্য দেখে ভীত। আপনি সত্যিই তাদের জন্য হুমকি স্বরুপ। এদের সঙ্গ এড়িয়ে চলুন এবং এদের সঙ্গে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করবেন না। আর এদের যেকোনো ধরনের অসদাচরণ সম্পর্কে বসকে অবহিত করুন।
৫. চাটুকার
যেসব সহকর্মী কাজের মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জনের বদলে বরং বসদের মনোরঞ্জন বা চাটুকারিতা করে টিকে থাকতে চায় এদের ব্যাপারেও সাবধান থাকুন। এদের কখনোই বিশ্বাস করবেন না। এরা নিজেদের অবস্থান ধরে রাখার জন্য যেকোনো হীন কাজ করতে প্রস্তুত। এমনকি আপনার নিজের অবস্থার উন্নতির লোভেও এদের সঙ্গে জোট বাঁধতে যাবেন না। এসব পাচাটা লোকদেরকে উপেক্ষা করার জন্য নিজেকে প্রতিনিয়ত প্রশিক্ষিত করে তুলুন।
৬. অতিনাটুকে
কর্মক্ষেত্রে আপনি এমন কিছু সহকর্মীর দেখা পাবেন যারা সব সময়ই এমন ভান করবে যেন তারা এইমাত্র কোনো টিভি রিয়েলিটি শো'র সেট থেকে বের হয়ে এসেছে। ব্যক্তিগত জীবনে হয়তো এরা আপনার জন্য কিছুটা উপভোগ্য হতে পারে কিন্তু কর্মক্ষেত্রে এরা খুবই বিষাক্ত। এদের নাটুকেপনায় না জড়িয়ে এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম।
অতিনাটুকেপনারা সব সময়ই এই হীনমন্যতায় ভোগেন যে তাদেরকে বুঝি কেউ খেয়াল করছে না বা গুরুত্বপূর্ণ ভাবছে না। আর এ কারণেই নাটুকেপনা করে তারা নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে চায়। অতি নাটুকেপনার মাধ্যমে এরা আপনাকে সন্তুষ্ট করার মাধ্যমে নিজেকেই এই প্রবোধ দিতে চায় যে তারাও বুঝি গুরুত্বপূর্ণ। এরা আসলে অন্যের অনুভুতির ব্যাপারে কোনো তোয়াক্কাই করে না এবং প্রাপ্তবয়স্ক জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনেও ব্যর্থ হয়।
দূরত্বের কঠিন দেয়াল তৈরি করে এদের এড়িয়ে চলুন এবং অন্য কেউ এদের খপ্পরে পড়ার আগ পর্যন্ত এদের সঙ্গে নির্লিপ্ত ভাব বজায় রাখুন।
৭. আপনার কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য রক্ষায় উদাসীন
এই ধরনের সহকর্মী বা বস সব সময়ই এই আশা করেন যে কাজের জন্য আপনি আপনার ব্যক্তিগত জীবনের সবকিছুই ত্যাগ করবেন। তবে কাজের জন্য আপনাকে মাঝেমধ্যে অবশ্যই ব্যক্তিগত জীবনের কিছু না কিছু বিসর্জন দিতে হবে। কিন্তু যারা আপনার কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য রক্ষার ব্যাপারে একদমই চিন্তিত নন তারা কখনোই আপনার ব্যক্তিগত বা পেশাগত জীবনের উন্নতি চায় না।
যে প্রতিষ্ঠান বা বস আপানাকে সব সময় অতিরিক্ত কাজের চাপে রাখতে চায় অবসরে তাদেরকে বিষয়টি ঠাণ্ডা মাথায় বুঝিয়ে বলুন। তাদেরকে যুক্তিসহকারে এটা বুঝিয়ে বলুন যে আপনি আর পারছেন না। আপনার যে একটি ব্যক্তিগত জীবন আছে সেটিও তাদেরকে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করুন।
( সংগৃহীত )
LikeShow more reactions
Comment

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment.

 

SSC Chemistry

SSC Chemistry

 
Blogger Templates